প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করার জন্য ‘টিকাদান কর্মসূচি’ শুরু হয়েছে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯-এর অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করার জন্য ২২ জানুয়ারি ২০২২ ‘টিকাদান কর্মসূচি’ শুরু হয়েছে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে দু’দিন ব্যাপী এই কর্মসূচি ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকাদান করা হয়। ২৩ জানুয়ারিও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকাদান করা হবে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোভিড-১৯-এর এই ‘টিকাদান কর্মসূচি’ গ্রহণ করেছে।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ইতিপূর্বে ২২ এবং ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১ম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১ম ডোজ নেওয়ার সময় সরবরাহকৃত টিকা কার্ড ও নিজ নিজ স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২২ জানুয়ারি থেকে টিকা গ্রহণ করতে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে।
এই টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ইপিআই টেকনিশিয়ান জনাব মৃণাল দাশ ও স্বাস্থ্যসহকারীবৃন্দ ।
উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদানকালে ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, সারা বিশ্বকে শঙ্কায় ফেলে দেওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে করোনার যেকোনো সম্ভাব্য ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় সরকারের জনস্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারের টিকাদান কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হয়েছে। টিকা হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু কমাবে।
ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনার টিকা আবিষ্কার ও টিকা প্রদান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে তাঁর যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতেও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।